জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি করতে হবে
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোন জনপ্রতিনিধি মানুষের প্রতি অত্যাচার, নির্যাতন করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। বিশেষ করে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা কারও প্রতি জুলুম করবেন না। জনপ্রতিনিধিদের অধিকতর ক্ষমতাবান এবং অধিকতর জবাবদিহিতারও আওতায় আনা হবে। যে কোন মূল্যে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে মত দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে পোমগাঁওয়ের নিজ বাড়িতে মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম কথাগুলো বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা জনগণের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকার ফলে মানুষের সমস্যাগুলো তারা সবচেয়ে ভালোভাবে জানার সুযোগ পান। সেই সমস্যা সমাধানে তারা আন্তরিক হলে অনেক উন্নয়ন স্থানীয় পর্যায়েই সম্ভব। তাই সরকারের এই শাসনামলে জনপ্রতিনিধিদের অধিকতর ক্ষমতায়ন করে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে। তবে সেই সাথে অনিয়ম করলে জনপ্রতিনিধিদের যথোপযুক্ত জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের জন্য একটি রূপরেখা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রনয়ণ করা আছে। সে রূপরেখাকে গুরুত্ব দিয়ে আমার এলাকাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়ন করা হবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জ এর রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজসহ অসংখ্য অবকাঠামগত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার ফলে। ভবিষ্যতেও লাকসাম মনোহরগঞ্জবাসির আকাঙ্ক্ষা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে যেন পূরণ করতে পারেন সেই দোয়া চান তিনি।
মন্ত্রী লাকসাম-মনোহরগঞ্জের উন্নয়নে কোথায় ঘাটতি রয়েছে তা চিহ্নিত করে সবার সাথে আলোচনা করে প্রকল্প নেওয়া হবে বলে জানান। এ আসনের মানুষ যাতে সুশাসন ও ন্যায়বিচার পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে দ্বিতীয়বার স্থানীয় সরকার মন্ত্রী করেছেন। টানা দ্বিতীয়বার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মত বৃহৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা রেখেছেন তা যেন অক্ষুন্ন রাখতে পারেন সেজন্য এলাকাবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি।
তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রথম যেদিন আমাকে এমপি হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল ঐ দিন আমার গায়ের লোম খাড়া হয়ে গিয়েছিল, আমার চোখের পানি পড়েছিল। প্রথম এমপি হওয়ার পর আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া করেছিলাম, যে লোকগুলো আমাকে ভোট দিয়েছে, যারা আমার জন্য কাজ করেছে, আমি যাদের এমপি হয়েছি; তাদের ভাগ্যোন্নয়নে যেন আমি কাজ করতে পারি। সমাজে ন্যায় বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের পরিচালনায় এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ৫ম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত মোঃ তাজুল ইসলাম দ্বিতীয় বারের মতো স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মনোনীত হওয়ায় সভায় উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিবৃন্দ মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।