Header Ads

Header ADS

এসএসসির প্রশ্ন ফাঁস: মনোহরগঞ্জে ২ শিক্ষক জেলে, প্রধান শিক্ষক পলাতক


 নিজস্ব সংবাদদাতা: কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকসহ ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসএসসি'র প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে । এদের ২ জনকে আটক করে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপর অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) গণিত পরীক্ষা চলাকালীন উপজেলার পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। 

আটককৃতরা হলেন, শাহরাস্তী উপজেলার নাতারা গ্রামের তালুকদার বাড়ীর আবু ইউছুফের ছেলে আল আমিন (৩৩), একই উপজেলার বেরনাইয়া গ্রামের আদিপুর বাড়ীর সাহেব উদ্দিনের ছেলে মফিজ উদ্দিন (২৬)। 

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি'র গণিত বিষয়ের প্রশ্নপত্র মোবাইল হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে হল সুপার লালচাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুল আলম পাটোয়ারী বাইরে থাকা অপর দুই শিক্ষকের কাছে পরীক্ষার হল থেকে পাঠিয়েছেন তারা যেন প্রশ্নপত্র সমাধান করে উত্তরপত্র পুনরায় পাঠায়। (যা পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইন ১৯৮০ এর ৯ খ ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ)

এ ঘটনায় রোববার রাতে পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মনোহরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজালা রানী চাকমা জানান, মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এসএসসি'র গণিত বিষয়ে পরীক্ষা চলছিলো পোমগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে, পাশের মার্কেটে একটি চক্র গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে এমন খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ওই মার্কেটে অভিযান চালিয়ে আল আমিন ও মফিজ উদ্দিন নামে দুই শিক্ষককে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সদস্যদের সঙ্গে গণিতের প্রশ্নপত্র মোবাইল ফোন ও ডিভাইস পাওয়া যায়। স্মার্টফোনের মাধ্যমে গণিতের উত্তরপত্রের সমাধানগুলো শিক্ষার্থীদের সরবরাহ করছিলেন তারা।

মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সরকার জানান, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের তিন সদস্যের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে, অপর আসামি মনোহরগঞ্জ উপজেলার লালচাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গণিত পরীক্ষার হল সুপার সামছুল আলম পাটোয়ারীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Blogger দ্বারা পরিচালিত.